August 14, 2025, 8:19 pm
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি।
মোবাইল চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
এ অভিযোগ উঠেছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী নারী শিক্ষক ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের কালীপুর গ্রামে। ঘটনায় আহত কাইউমের বাবা দেলোয়ার মাঝি বাদী হয়ে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ জনকে আসামি করে মামলা করলে মামলাটি এস আই কৃষ্ণকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ভুক্তভোগীর বাবা দেলোয়ার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের কালিপুর গ্রামের কালীপুর ছালেহিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খাদিজা বেগমের মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ অভিযোগে একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কে কে আজিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র কাইউমকে মোবাইল চুরির অপবাদে ১৫ অক্টোবর শনিবার খাদিজা, তার স্বামী বাদল মিয়া ও তাদের সহযোগী বাবু মিয়া ছালেহিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরতান ভবনের একটি নির্জন কক্ষে নিয়ে লাঠি দিয়ে পেটায়। তাদের বেধরক পিটুনির একপর্যায়ে কাইউম বমি করে দেয়। তাৎক্ষণিক তাকে কাঁঠালতলী পরিষদ বাজারে জননী ফার্মেসিতে গিয়ে দুটি বমির ও একটি ব্যথার ট্যাবলেট খাওইয়ে দেয়া হয়। এরপর তার মেঝভাই আবদুল আলিমকে খবর দেয়া হলে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করে অবস্থা গুরুতর দেখে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে টানা চার দিন চিকিৎসা নেয়া হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক খাদিজা বেগম মঠোফোনে বলেন,আমার ফোন চুরি হইছে এঘটনা সত্য। তবে কে কাকে মারধর করেছে;তা আমি কিচ্ছু জানিনা।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাঃ নূরুন্নাহার বলেন, এমন ঘটনা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি বিষয়টি প্রসঙ্গে তেমন কিছুই জানিনা।
এদিকে স্থানীয় সালাম নামক এক গ্রাম পুলিশ বলেন, ঘটনার দিন চুরির অভিযোগকারী ওই শিক্ষকের ভাইয়ের ছেলে এবং অভিযুক্ত কাইউমকে স্কুলের দিকে নিয়ে যেতে দেখেছিলেন। তিনি পরে শুনেছেন কাইউমকে মারধর করা হয়েছে এবং চুরি যাওয়া ফোন তার ভাইয়ের ছেলের কাছে পাওয়া গেছে বলে তিনি শুনেছেন।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার টি এম শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,হ্যাঁ এমন একটি অভিযোগ শুনেছি। ঘটনায় একটি মামলাও হয়েছে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
অমল তালুকদার।।